প্রকাশিত: ০২/১০/২০১৭ ৭:০৮ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৪৮ পিএম

মিশরের হাজম জঙ্গি গোষ্ঠী কায়রোর মিয়ানমার দূতাবাসে ছোট্ট একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়নের জবাব দিয়েছে বলে জানিয়েছে।

শনিবার ওই বিস্ফোরণের পরদিন রোববার দলটি এর দায় স্বীকার করেছে।

মিশরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ঘটনাটি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি।

স্থানীয় অধিবাসী ও গণমাধ্যম প্রাথমিকভাবে এ বিস্ফোরণকে গ্যাস পাইপলাইন দুর্ঘটনা বলে প্রচার করেছে। তবে দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ঘটনাস্থলে বিস্ফোরকের আলামত পেয়েছেন তারা।

এক বিবৃতিতে হাজম জঙ্গিরা বলেছে, “এ বোমা বিস্ফোরণ মুসলিম অধুষ্যিত রাখাইন রাজ্যে নারী, শিশুদের হত্যাকারী ও খুনিদের দূতাবাসের জন্য একটি সতর্কসংকেত।”

রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের দাবিতে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইসলামী হকার্স শ্রমিক আন্দোলনের মানববন্ধন। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
কায়রোয় গত বছর থেকে বিচারক ও পুলিশদের ওপর একাধিক হামলার জন্য দায়ী জঙ্গি গোষ্ঠী হাজম এই প্রথম কোনও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের দাবি করল।

হাজম এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কোনও বেসামরিক নাগরিক বা নিরীহ মানুষ যাতে হতাহত না হয় সেজন্য আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এ অভিযান চালিয়েছি। অন্যথায়, আপনারা এক জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ড দেখতেন যা নিবারণ করা সম্ভব হত না।”

ঘটনাটি সম্পর্কে মিয়ানমারের দূতাবাস কোনও মন্তব্য করেনি।

মিয়ানামারের রাখাইনে ব্যাপক সহিংসতার মুখে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো এখন এর জবাবে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

আল-কায়েদাসহ আরও অনেক জঙ্গি গোষ্ঠী বিভিন্ন দেশের মিয়ানমারের দূতাবাসে হামলার হুমকি দিচ্ছে এবং হামলার জন্য অনুসারীদের আহ্বানও জানাচ্ছে।

পাঠকের মতামত